শীতকালে কোন রোগ বেশি হয়ে থাকে - শীতকালে রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করা খাবার

শীতকালে রোগ থেকে বাঁচার ১৫ টি উপায় চলছে শীতের মৌসুম আর এই শীতকালে কোন রোগ বেশি হয়ে থাকে সে সম্পর্কে আমাদের আগে থেকে সতর্ক থাকা উচিত। আপনি যদি এই সকল রোগগুলো থেকে আগে থেকে সতর্ক হয়ে থাকেন তাহলে শীতকালের এই রোগ গুলোর হাত থেকে আপনি খুব সহজেই বাঁচতে পারবেন।

শীতকালে কোন রোগ বেশি হয়ে থাকে

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের আমরা শীতকালে রোগ গুলো সম্পর্কে জানাবো।তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা শীতকালে কোন রোগ বেশি হয়ে থাকে? সে সব রোগ সম্পর্কে সম্পর্কে জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ শীতকালে কোন রোগ বেশি হয়ে থাকে

ভূমিকাঃ শীতকালে যে সকল রোগ বেশি হয়ে থাকে

আমাদের দেশে বিভিন্ন ঋতু বিরাজ করে। তেমনই একটি ঋতু হলো শীতকাল। বাংলাদেশ শীত প্রধান দেশ না হলেও শীতের সময় এই দেশের তাপমাত্রা অনেক  নিচে নেমে যায় এবং শীতের হিমেল হাওয়ায় শুষ্ক বাতাসের সাথে সাথে নিয়ে আসে বিভিন্ন ভাইরাস সংক্রমণ রোগ। এ  সকল রোগ  অন্যান্য সময়ের চাইতে শীতকালে বেশি আমাদের শরীরে আক্রমণ করে।

আরো পড়ুনঃ স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৮টি কার্যকরী উপায়

এই সকল রোগ শীতকালে বেশি হয়ে থাকে এবং এ রোগ গুলোতে সবচাইতে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন শিশু এবং বয়স্ক মানুষ। শীতের হাড় কাঁপুনি ঠান্ডায় ভাইরাস জনিত জটিল রোগ গুলো থেকে বাঁচতে বিশেষ করে শিশুদের এবং বয়স্কদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

শীতে আমাদের যে সকল রোগগুলো হয়ে থাকে তার মধ্যে একটি স্বাভাবিক হলো সর্দি কাশি এই সর্দি কাশির মাধ্যমে হাজারো জীবাণু শিশুদের ও বয়স্কদের সংক্রমণ করতে পারে খুব সহজেই। বিশেষ করে বাইরের খোলা খাবারগুলো থেকেও আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া।

এই শীতকালে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সংক্রম এবং জটিল মারাত্মক রোগ গুলো প্রবেশ করার প্রধান কারণ হলো আমাদের অসতর্কতা। কারণ শিশু এবং বয়স্ক মানুষ এ সময়ে বেশি এ সকল রোগগুলোতে আক্রান্ত হয়ে থাকে খুব সহজেই কারণ তারা গরম পোশাক পড়তে চায়না যার কারণে তাদের খুব সহজেই শীতকালে এই ভাইরাস গুলোতে আকারান্ত হয়ে থাকে।

শীতের শুষ্ক হিমেল হাওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় নালীর মাধ্যমে আমাদের শরীরে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকা এবং গরম পানি ব্যবহার না করার কারণেই খুব সহজেই শীতকালে এ সকল রোগগুলোতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। শীতকালে আমাদের শরীরে যেসব ভাইরাস সংক্রমিত রোগ গুলো খুব সহজে আক্রান্ত করে থাকে সে সকল রোগগুলো সম্পর্কে থাকছে আজকের এই প্রতিবেদনে। তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

শীতকালে যে সকল রোগ বেশি হয়ে থাকে

শীতকালে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভাইরাস সংক্রমিত রোগ গুলো আক্রমণ করে থাকে যে রোগগুলো আমাদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে এবং অনেক জটিল ভাইরাস রোগ রয়েছে যার মাধ্যমে আমাদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এবং জীবনের ঝুঁকি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আয় আমাদের শীত আসতেই শীতের রোগ গুলো সম্পর্কে জেনে থাকা অত্যাবশ্যক।

শীত মানেই ভাইরাস সংক্রম মুখ মনের বৃদ্ধি ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া কারণ অতিরিক্ত শীতের সাথে সাথে ভাইরাসের প্রকোপও শীতকালে অনেক বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। শীতকালে আমাদের শরীরে যেসব রোগ গুলো হয়ে থাকে বাজে সকল রোগগুলোতে আমরা আক্রান্ত হয়ে থাকি সে সকল রোগ গুলো সম্পর্কে চলুন পরিচিত হয়নি।

  • সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা
  • নিউমোনিয়া
  • পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া
  • চামড়া শুষ্কতা
  • ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু
  • সাইনোসাইটিস ও হাঁপানি- অ্যাজমা
  • বাত ব্যথা ও কানে ইনফেকশন

সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা -- সর্দি কাশি আমাদের বারোমাসি কম বেশি শরীরে দেখা দিয়ে থাকে তবে শীতকালে এটির তীব্রতা অনেকটাই বেশি হয়ে থাকে এবং খুব সহজেই মানুষ শীতে সর্দি-কাশি সমস্যায় ভুগে থাকে। শিশু শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলেই সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে প্রায় ২০০ রকমের ভাইরাসের কারণে সর্দি কাশি দেখা দিয়ে থাকে।

এর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা, হাঁচি কাশি সর্দি জ্বর এর মত লক্ষণ গুলো দেখা দিয়ে থাকে। শীতকালে সর্দি কাশির মতো সমস্যা দেখা দিলে কিছু সতর্কতা মানলেই আপনার এইসব সমস্যা খুব সহজেই সমাধান হবে । সাধারণ সর্দি-কাশির সময় পাতলা পায়খানা  ও বমি হতে পারে কয়েকদিনের সতর্কতা মানলেই এই সর্দি কাশি খুব সহজেই ভালো হয়ে যায়

এ সময় পরিমিত তরল খাবার, হালকা কুসুম পানি দিয়ে গড়গিল, আদা চা মধু এবং গরম পোশাক পরিধান করলে খুব সহজেই এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এ সময় আপনি ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। অনেক সময় সর্দি-কাশির তীব্রতা উপসর্গ থাকলে ইনফ্লুয়েঞ্জার মত সমস্যা হতে পারে।

এটি একটি ভাইরাস সংক্রমণ রোগ। এটি আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কাশি ওনিঃসরিত লালার মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এ ভাইরাসটি প্রতিবছর তার ধরন বদলায়। তাই শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত প্রতিটা মানুষেরই এ ভাইরাস সংক্রমণের ঠিকানা হওয়া উচিত। এ ভাইরাসের উপসর্গ তীব্রতা বাড়লে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

নিউমোনিয়া -- শীতকালে ঠান্ডা জনিত জটিল সমস্যা হিসেবে নিউমোনিয়া বেশ পরিচিত। যা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে ছড়িয়ে থাকে। নিউমোনিয়া আক্রান্ত বেশিরভাগ সংখ্যা শিশু। তবে বৃদ্ধ ও বয়স্কদের সংখ্যাও কম নয়। পৃথিবীব্যাপী পাঁচ বছরের নিচের শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। শীতকালে প্রতি বছর বাংলাদেশে হাজার হাজার শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে।

নিউমোনিয়া রোগটি হলে আমাদের শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে যেমন: ঠাণ্ডা ও কাঁপুনি দিয়ে তীব্র জ্বরের সঙ্গে কফযুক্ত কাশি, শ্বাসকষ্ট, দ্রুত পালস, প্রেসার কমে যাওয়া, শরীর ব্যথা,বুকে ব্যথা, মাথাব্যথা,  হতে পারে। নিউমোনিয়া মত রোগ থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় টিকা নেওয়া উচিত। আপনার পরিবারের কোনো সদস্যের যদি নিউমোনিয়া হয়েছে এমনটি সন্দেহ হয়ে থাকে তাহলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ চিকিৎসা নিন।

পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া -- শীতকালে বিভিন্ন জটিল ভাইরাস সংক্রমণ রোগ গুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা। ডায়রিয়া একটি বর্ষাকালীন রোগ হল শীত কালো এর ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকেন শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সী মানুষ। যারা নবজাতক শিশু রয়েছে তাদের ডায়রিয়ার সাথে সাথে তীব্র জ্বর দেখা দিয়ে থাকে।

শীতকালে যে সকল শিশুর বয়স ছয় মাসের কম তাদের এ সময় ভাইরাল ডায়রিয়া বা রোটা ডায়রিয়া হয়ে থাকে। শীতকালে যদি কোন ভাইরাস সংক্রমিত ডায়রিয়া হয়ে থাকে তাহলে কোন ওষুধের খুব একটা প্রয়োজন হয় না। ভাইরা সংক্রমিত ডায়রিয়ায় ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে রোগীর অবস্থা যদি খুব গুরুতর হয়ে ওঠে তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিছু এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয় ও ডাক্তারের কিছু পরামর্শ নিতে হতে পারে।

তবে এই সময় আপনাকে নিরাপদ পানি পান করতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে বাইরের খাবার পরিহার করতে হবে এবং পচা বাসি খাবার পরিহার করতে হবে। এবং খাবার আগে অবশ্যই হাত ধোয়ার ব্যাপারে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই শীতকালে ভাইরাস জনিত ডায়রিয়া থেকে মুক্তি পাবেন এবং এ সময় আপনার পেটের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

চামড়া শুষ্কতা -- শীতের আদ্র বাতাসে আমাদের শরীরের চামড়া রুক্ষ- শুষ্ক হয়ে ওঠে। আর এ সময় আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম চুলকানি ও এলার্জির মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এ সময় বাইরে অনেক ধুলোবালি উড়ে থাকে এসব ধুলো বাড়িতে যাদের এলার্জি রয়েছে তারা শীতকালে এলার্জি সমস্যায় ভুগে থাকে।

আর শীতকালে এলার্জি ও চামড়া শুষ্কতা থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন লোশন ক্রিম গ্লিসারিন নারিকেল তেল অলিভ অয়েল তেল শরীরে ব্যবহার করতে পারেন। করে চামড়া নরম ও শরীরে ময়চারাইজার বৃদ্ধি পাবে। এবং চামড়া সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে। এ সময় যদি আপনি চুলকানি বা এলার্জির মত সমস্যা ভোগে থাকেন তাহলে দূরত্ব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু -- শুধু গরমে নয় শীতকালেও মশা বাহিত ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগে অনেক আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। শীতকালে এসব রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ সময় ম্যালেরিয়া  ফাইলেরিয়া ডেঙ্গু জ্বর সহ নানা রকম ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বরে কাঁপুনি দিয়ে শরীরে জ্বর আসে এবং গিটে ব্যথা করে।

এই সব মশা বাহিত ভাইরাস রোগ থেকে বাঁচতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রতি রাতে বা শোয়ার সময় মশারি টাঙ্গাতে হবে এবং এই ভাইরাস জনিত রোগে যদি আপনি আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে।

সাইনোসাইটিস ও হাঁপানি- অ্যাজমা -- শীত আসলেই আমরা সাইনোসাইটিস ও হাঁপানি অ্যাজমার সমস্যায় ভুগে থাকি। সাইনোসাইটিস দেখা দিলে আমাদের অল্প শ্বাসকষ্ট, নাক বন্ধ ও মাথা ব্যথার সমস্যা হয়ে থাকে। এ রোগের প্রতিকারের জন্য তেমন এন্টিবায়োটিক এর প্রয়োজন হয় না। তবে এটি প্রতিকারে এলার্জির ওষুধ গরম পানির ভাপ ও ন্যাচারাল স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।

অন্যদিকে হাঁপানি ও অ্যাজমা প্রকোপ শীতকালে অনেক বেড়ে থাকে কারন এ সময় বাইরের শুষ্ক আবহাওয়া আদ্র ও ঠান্ডা বাতাস ও বিভিন্ন ভাইরাস সংক্রান্ত রোগ ও এলার্জির কারণে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। শীতকালে যারা অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছেন তাদের ভালো পরামর্শ হলো তারা দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ইনহেলার ব্যবহার করা।

তবে যাদের শুধু ইনহেলারে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ হয় না, তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের মুখে খাবার ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এবং এই সকল রোগ থেকে প্রতিকার পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে পরিষ্কার পরিছন্নতা মেনে চলা অত্যাবশ্যক।

বাত ব্যথা ও কানে ইনফেকশন -- শীতকাল বিভিন্ন রোগের সাথে সাথে আমাদে বিভিন্ন ধরনের বাতের ব্যথা বেড়ে যায়। তাই এই সময় নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পর পাশাপাশি শরীরের সুস্থতার জন্য ব্যায়াম করা প্রয়োজন। আমরা অনেকেই না বুঝে শুধু শুধু ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকি কিন্তু এই ব্যথার ওষুধ গুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করে থাকে। ব্যথার ওষুধ সেবনে হার্ট, কিডনি, লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এ রোগের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করতে হবে।

এছাড়া শীত আসলেই ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্য কান ব্যথা, মাথা ঘোরানো, কান দিয়ে পুঁজ পড়া ইত্যাদি এরকম গুলো দেখা দিয়ে থাকে তাই এই রোগগুলোকে অবহেলা না করে আমরা ঠিকমত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করব। কারণ আপনার একটি ভুলের জন্য আপনি সারা জীবনের জন্য শ্রাবণ যন্ত্রের সমস্যায় ভুগতে পারেন। তাই গুরুত্বসহ করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

শীতকালের রোগগুলো থেকে প্রতিকার পেতে যা করণীয়

শীতকালে ঠান্ডার আসার সাথে সাথে নিয়ে আসে হাজার রকমের ভাইরাস সংক্রমণ রোগ। এ রোগ গুলোর মধ্যে রয়েছে সর্দিজ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা, অ্যালার্জি, চোখ ওঠা, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া, কানে ইনফেকশন, খুশকি, খোসপাঁচড়া ও চর্মরোগ প্রভৃতিরও প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। যা ইতিমধ্যে আপনাদের আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জানিয়েছি।

শীতকালে কোন রোগ বেশি হয়ে থাকে

আপনি যদি এই রোগগুলো থেকে প্রতিকার পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আগে থেকেই এ রোগ গুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। শীতকালে অবশ্যই ত্বকের ও শরীরের সঠিক পর্যায়ে যত্ন নিতে হবে। কারণ আমাদের বেশিরভাগই এই রোগ গুলো হয়ে থাকে যত্নের ও অসতর্কতার অভাবে। শীতকালে সাধারণ একটি রোগ সর্দি-কাশি যা শীত ছাড়াও প্রায়ই সময় আমাদের হয়ে থাকে।

শীতের সময় এর প্রকোপ একটু বেশি হয়ে থাকে। কারণ শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ও আদ্র বায়ুর কারণে বিভিন্ন সংক্রমক ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই এ সময় রয়েছে বাড়তি যত্ন ও সতর্কতার প্রয়োজন।

করণীয়ঃ

  • শীতকালে আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অধিক জরুরী কারণ শীতের ধুলোবালিতে বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে যার কারণে আমাদের বিভিন্ন রোগে শরীর খুব দ্রুতই আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাই এ সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকা জরুরি।
  • শীতকালের সর্দি কাশির সমস্যা আমাদের সবারই হয়ে থাকে। তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে আপনি গরম পানি আদা চা বা মধু সেবন করতে পারেন।
  • শীতের সময় শরীরের গরম ধরাতে এবং ঠান্ডা জনিত নানা রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই গরম কাপড় পরিধান করতে হবে।
  • শীতে ব্যবহারকৃত পানিগুলো এবং পান করা পানি অবশ্যই হালকা কুসুম গরম পানি হতে হবে। কারণ ঠান্ডা পানি ব্যবহারে ও পানের ফলে আপনার ঠান্ডা জনিত সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, তাই শীতকালে অবশ্যই হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।
  • এ সময় ঠান্ডার সাথে সাথে গলা ব্যথা বা কান ইনফেকশন সমস্যা হয়ে থাকে তাই এ সময় গলা ব্যথার জন্য হালকা কুসুম পানি গড় গড় করতে হবে এবং পান করতে হবে।
  • শীতের শুষ্ক আবহাওয়া শরীরের চামড়া শুষ্ক হয়ে ওঠেন এবং এ সময় ত্বকে বিভিন্ন রকম চুলকানি বা এলার্জি সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই এ সমস্যা থেকে বাঁচতে অবশ্যই আপনাকে গ্লিসারিন লোশান অলিভ অয়েল মোশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে যেন ত্বক সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে।
  • শীতকালের নিউমোনিয়ার প্রকোপ অনেক বেড়ে যায় তাই এ সময় বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ যারা রয়েছেন তারা গরম কাপড় ও গরম খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এ সময় বাইরে যাওয়া থেকে দূরে থাকুন। সব সময় শুষ্ক পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। বাংলাদেশ প্রতিবছর নিউমোনিয়ায় শিশু থেকে বৃদ্ধ অনেক অংশে মানুষ মৃত্যুবরণ করে তাই নিউমোনিয়ার টিকা নিতে হবে।
  • শীত মানেই বিভিন্ন ভাইরাসের সময় তাই এই সময় বিভিন্ন রোগে আমাদের শরীর আকারান্ত হতে পারে তাই আগে থেকেই এসব রোগের করণীয় জেনে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং কোন রোগ এবং যথাসময়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

শীতকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করা খাবার

শীতকালে যেহেতু রোগের প্রকোপ অনেক বেশি তাই শীতকালে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করা খাবার অত্যন্ত জরুরী কারণ এ সময় আমাদের শরীর অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে কারণে ভাইরাস খুব সহজে আমাদের শরীরে আক্রান্ত করতে পারে। শীতে গরম পোশাক তো শীত নিবারণ করে থাকে কিন্তু শীতকালে যে রোগগুলো হয়ে থাকে তা প্রতিরোধ করতে অবশ্যই কিছু পুষ্টিযুক্ত খাবারের প্রয়োজন রয়েছে।

শীতকালে এই খাবারগুলো খেলে অবশ্যই আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। তাহলে চলুন শীতকালে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করা খাবার গুলো কি সে সম্পর্কে জেনে নিয়ে আমরা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করি।

শীতকালে এমন অনেক প্রয়োজনীয় খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরে সঠিক পুষ্টি যোগান দিয়ে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু শীতকাল নয় বিভিন্ন ঋতুতে বা সময়ে বিভিন্ন রকমের পুষ্টি যুক্ত সুষম খাবার গ্রহণ করা উচিত। শীতকালে এমন ১০ টি খাবার রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে চলুন সেই ১০ টি খাবার কি যার শীত কালে খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

১। ঘিঃ শীতকালে ঘি অত্যন্ত পুষ্টিযুক্ত শোষণ একটি খাদ্য। যা সহজে ই খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ফ্যাট যা সহজে শরীরের শক্তি ও তাপ উৎপন্ন করে থাকে। ফলের শরীর সহজেই তাপ উৎপন্ন হয়। যাবে কিনা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং পরিমত অনুযায়ী ঘি খেলে শরীরের রুক্ষ ও শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন ঘি বিভিন্ন খাবারের সাথে খেতে পারেন আপনি চাইলে রুটি খিচুড়ি বা গরম ভাতের সাথে ঘি খেতে পারেন।তাই শীতকালে আপনার খাদ্য তালিকায় ঘি রাখুন।

২। খেজুরঃ খেজুর বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ কার্যকরী একটি ফল। খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও ক্যালসিয়াম। খেজুর বাত ব্যথা রোগীদের জন্য অনেক উপকারী এছাড়াও দাঁতের গোড়া মজবুত ও হাড় মজবুত করতে খেজুর বিশেষ উপকারী।

আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং শরীরে শক্তি ও তাপ উৎপন্ন করতে দিনে দুইটি করে খেজুর খেতে পারেন। এতে করে  শীতকালে আপনার শরীরের ক্লান্তিতে ও অলসতা দূর হবে এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

৩। আমলকিঃ বিভিন্ন গুণে ভরপুর পুষ্টিযুক্ত একটি ছোট্ট ফল আমলকি এটি দেখতে ছোট হলেও এটি গুনে অত্যাধিক বড়। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে এর মধ্যে। কারণ আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাথে সাথে সংক্রম ও দূর করে। আমলকি আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন কেউ আমলকির মোরব্বা আচার চাটনি ক্যান্ডি বা জুস বানিয়ে খেতে পারে। তবে আমলকি যদি আপনি কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন তবে অনেক ভালো ফল পাবেন।

৪। মিষ্টি আলুঃ শীতকালীন একটি ফল বা সবজি যায় বড় না কেন এ রয়েছে বহু উপকারিতা  ও পুষ্টিগুণ। মিষ্টি আলোয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পটাশিয়াম ও ভিটামিন। মিষ্টি আলু খেলে আপনার শরীরের প্রদাহ কামাতে সাহায্য করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করবে। মিষ্টি আলু খেলে বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি এর ঘাটতিও পূরণ হয়।

মিষ্টি আলু আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন কেউবা সিদ্ধ করে কেউ কাঁচা এবং সিদ্ধ করে দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে অধিক পুষ্টি পাওয়া যায় এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৫। হলুদঃ হলুদ বিভিন্ন রোগ ও ব্যাকটেরিয়াতে ধ্বংস করতে বিশেষ কার্যকরী। শীতকালে রান্নার কাজে হলুদের ব্যবহার বাড়াতে পারেন এছাড়াও এক গ্লাস দুধে এক চিমটি হলুদ দিয়ে পান করতে পারেন।হলুদের পানি বা হলুদ চা খেতে পারেন।

৬। রসুনঃ অধিক গবেষণায় দেখা গেছে রসুন স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী। বহু বছর ধরে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে। শীতকালে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে রসুনের ব্যবহার অতুলনীয় রসুন ফ্লু ও ঠান্ডা জ্বরে বিশেষ উপকারী এছাড়াও উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে। রসুনে রয়েছে বিদ্যামান অ্যালিসিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ইমিউন সিস্টেমে সহায়তা করে।

৭। আদাঃ আদাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য। এবং  ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গোটা আদা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। তরকারিতে বা চায়ে গোটা আদা ব্যবহার সবচেয়ে উপকারী। এবং শীতের সর্দি কাশি ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ থেকে রক্ষা পেতে আদা চা খেতে পারেন।

৮। সবুজ শাকসবজিঃ শীতকালের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছাড়াও সারা বছরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহজ শাকসবজি তুলনা নেই।পালংশাক, বাঁধাকপি ও অন্যান্য সবুজ শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ কার্যকরী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তুলতে সাহায্য করে।

৯। সাইট্রাস ফলঃ কমলা ও মোসাম্বির মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি-তে ভরপুর। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আমরা শীতকালে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাইট্রাস ফলগুলো আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখবো।

প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর ৭৫ মিলিগ্রাম এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করা উচিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ  ও প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে ত্বক ও রক্তনালীকে সুস্থ রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

১০। দইঃ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দুই রয়েছে প্রচুর প্রোটিন যাহার ও ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে এতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যার মাধ্যমে ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত দই খেলে অন্ত্রের ভারসাম্য বজায় থাকে। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইমিউন সিস্টেমের অধিক উপকারী অন্ত্রের সুস্থতাও গুরুত্বপূর্ণ।

শীতকালে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন

শীতকালে কোন রোগ বেশি হয়ে থাকে? এ বিষয়গুলো জেনেছি। দেহকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিয়ে থাকে বিশেষ করে শীতকালে আমাদের শরীরে এ সমস্যাটি হয়ে থাকে। শীতকালে বিভিন্ন রোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে এ সময় আমাদের শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিয়ে থাকে।

শীতকালে কোন রোগ বেশি হয়ে থাকে

সর্দি কাশি থেকে শুরু করে হৃদপিণ্ড ফুসফুস শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই এ সময় যদি আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবারগুলো মাধ্যমে ভিটামিনের জোগাড় দিয়ে থাকে তাহলে এইসব রোগ  থেকে। তাই আপনার শরীরে সঠিক পুষ্টি ও কয়েকটি নির্দিষ্ট ভিটামিন রাখতে হবে। এ সময় আমাদের শরীরে একাধিক ভিটামিনের যোগান থাকা জরুরী। শীতকালে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন গুলো কি সে সম্পর্কে জেনে নিন।

  • ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড 
  • ভিটামিন সি 
  • ভিটামিন ডি 
  • ভিটামিন এ 
  • ভিটামিন বি

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডঃ ওমেগা থ্রি হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে। এবং কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো রোগও প্রতিরোধ করে। এবং এটি শরীরে HDL অর্থাৎ ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ায়।

ভিটামিন সিঃ শীতকালে বিশেষ করে ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও ত্বক সুন্দর রাখার পাশাপাশি দাঁতও ভালো রাখতে সাহায্য করে।পাশাপাশি এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। যেকোনো সমস্যা ভিটামিন সি বেশ উপকারী।

আরো পড়ুনঃ খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়ার ১০টি উপায়

ভিটামিন এঃ ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বিশেষ কার্যকরী।স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং শারীরিক বৃদ্ধি ও সঠিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এটি হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। 

ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হাড় মজবুত করে। এটি হাড়ের ক্যালসিয়াম ফসফরাস মজবুত করে। এবং স্বাস্থ্যকর কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে তাই শীতকালে সবাইকে সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করুন।

ভিটামিন বিঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন বি বি বিশেষভাবে কাজ করে থাকে।ভিটামিন বি১২ একটি অপরিহার্য বি ভিটামিন। এটি আপনার শরীরের রক্ত ​​এবং স্নায়ু কোষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি লোহিত রক্ত ​​কণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি ৬ খাবারকে শক্তিতে পরিণত করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি বি-কমপ্লেক্স রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, উন্নত বিপাক এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শীতকালে আমাদের শরীরের সঠিক পুষ্টি ও ভিটামিন থাকলে শীতকালীন বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ মোকাবেলা করতে সক্ষম। তাই বিশেষ করে শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অবশ্যই এ, সি, ডি, ই , এবং বি-কমপ্লেক্সের জোগান দিতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

শীতকালে কোন রোগ বেশি হয়ে থাকে? সাধারণত এই বিষয়গুলো আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। যেহেতু শীতকালে অনেক বেশি ঠান্ডা করে এই সময় আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা কমে যায় যার ফলে একটুতে আমাদের রোগ হয়ে যায়। সাধারণত কোন রোগ গুলো বেশি হয়ে থাকে? এবং এখান থেকে বাঁচার উপায় বা কি? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে

যদি আপনি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন। যদি এই ধরনের তথ্যমূলক এবং স্বাস্থ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url