স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৮টি কার্যকরী উপায়

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার খাবার প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় নিয়ে। আপনি যদি জানতে চান স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য। আপনি যদি পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৮টি কার্যকরী উপায়। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় সম্বন্ধে জানতে পারবেন।

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৮টি কার্যকরী উপায়

আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে আর স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৮টি কার্যকরী উপায়। যে ৮টি পদ্ধতিতে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারবেন। তো চলুন স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় গুলো জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৮টি কার্যকরী উপায়

মানুষের মস্তিষ্ক কেমন হয়ে থাকে

আপনার হতাশার কারণ হতে পারে কোন কিছু মনে রাখতে পারছেন না। আপনি ভাবছেন আগে তো আপনার এমন সমস্যা ছিলনা থেকেও কত জটিল জিনিস মনে রাখতে পারতেন কিন্তু এমনটা কেন হচ্ছে। আপনি বাইরে বের হতে যাচ্ছেন কিন্তু মানিব্যাগটা কোন ভাবেই খুঁজে পাচ্ছেন না। চাবি টা যে কোথায় রাখলেন প্রয়োজনের সময় কিছুই খুঁজে পাচ্ছেন না।

আপনার স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে পড়া মনে রাখতে পারছেন না মানুষের নাম ও মনে রাখতে পারছেন না।মানব শরীরের সবচেয়ে রহস্যজনক অংশটি সম্ভবত মানুষের মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রচুর গবেষণা করেছে, নতুন নতুন তথ্য জানার চেষ্টা করেছে সব সময়।

আরো পড়ুনঃ শীতকালে রোগ থেকে বাঁচার ১৫টি উপায়

তবুও অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে গবেষকদের কাছে। পার্টি জন্যই মস্তিষ্ক গবেষণা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার এর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বিস্তারিতভাবে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৮টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার কারণ ও বাড়ানোর উপায়

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া গবেষকরা প্রমাণ করেছে যে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে আপনার স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আর ঠিকমতো না ঘুমানোর ফলে আপনি আলঝেইমারের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। স্মৃতি ভুলে যাওয়ার একটি মারাত্মক রোগ আলঝেইমার।

আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সবকিছু ভুলে যায়, স্মৃতি মনে রাখতে পারেন না। রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি পরিচিত ব্যক্তি থেকে শুরু করে একটু আগেই দেখা জিনিস এর কথা স্মরণ রাখতে পারেন না। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া এটি একটি স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় হিসেবে কাজ করে।

সারারাত ঘুমের সময়টায় মস্তিষ্কের কোষগুলো সাধারণত ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত পদার্থগুলোকে সরিয়ে নিতে থাকে। যদি কেউ নিয়মিত পর্যাপ্ত না ঘুমায় এই ক্ষতিকার পদার্থগুলোর হতে পারে আপনার স্বাভাবিক জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। সুতরাং আপনি কোন কিছু মনে রাখতে পারেন না এর অন্যতম একটি কারণ হতে পারে- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য নিয়মিত ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। মনে রাখবেন এর চেয়ে কম ঘুমানো মানে আপনি নিজের ক্ষতি নিজে করছেন।

স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার কারণ- আপনার দীর্ঘদিনের হতাশা

আপনার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, শেখা সামর্থ্য কমে যাওয়া কোন কিছুতে মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা, এমন কিছু আপনার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণ হতে পারে আপনার দীর্ঘদিনের হতাশা। হতাশা শুধুমাত্র আপনার জীবনের এ কয়টি ক্ষতি করেই থেমে থাকবে না, হতাশার কারণে বা এর প্রভাবে আপনি হয়ে উঠতে পারেন প্রচন্ড খিটখিটে মেজাজের প্রচন্ড সন্দেহপ্রবণ অযথা দুশ্চিন্তা শিকার হওয়া বা সবকিছু আপনার কাছে বিরক্তিকর মনে হওয়া। দীর্ঘদিনের হতাশামুক্ত থাকা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায়।

এমনকি এর ফলে আপনি স্থায়ীভাবে মানসিক রোগী হয়ে যেতে পারেন। হতাশা মানুষের জীবনে আসবেই, তাই বলে একে যত বেশি প্রশ্রয় দেবেন আঁকড়ে ধরে থাকবেন ততোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছেন আপনি। তাই যত দ্রুত সম্ভব হতাশাকে জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন। বিশ্বাস রাখুন আগামীতে যা হবে তার জন্য আপনি প্রস্তুত। হতাশার স্মৃতি ভুলে প্রতি থেকে আপনার সুন্দর সময় গুলো কথা মনে করুন। ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখুন

পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি সংবেদনশীল

আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় 80 ভাগ পানি, আর এ কারণে পানিশূন্যতা হতে পারে আপনার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার কারণ। মস্তিষ্কে যদি স্বাভাবিক চেয়ে সামান্য পরিমাণ পানির ঘাটতি থাকে তাহলে এই কারণে যে যে সমস্যায় পড়তে পারেন। তা হল কাজে মনোযোগ কমে যাওয়া, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়া। আর এই দুটি একসাথে দায়ী- অল্পতেই কোন কিছু ভুলে যাওয়া এমনকি আপনার স্নায়বিক বৈকল্য দেখা দিতে পারে। পানিশূন্যতা রোধের জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

আরো পড়ুনঃ ফজর নামাজের কাজা পড়ার নিয়ম

গরম বেশি তাপমাত্রা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। পানিশূন্যতা প্রতিরোধে ফলের জুস অত্যন্ত উপকারী। তাই স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। বেশি বেশি পানি খাওয়া স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায়।

খাদ্যতালিকায় কম মিষ্টি জাতীয় খাবার রাখুন

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৮টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে জেনেছি এখন বেশ কিছু খাদ্য তালিকা জানবো। খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার মস্তিষ্কে কার্যক্ষমতা ধীর করে দেই। কোন কিছু শেখার সামর্থ্যকে কমিয়ে দেয় কাজে মনোযোগ কমে, স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে এর কারণ- অতিরিক্ত মিষ্টি মস্তিষ্কের নিউরাল কানেকশন কে নষ্ট করে। তাই বিজ্ঞানীরা গুরুত্বসহকারে বলেছেন, কারখানায় উৎপাদিত মিষ্টি যেমন সফট ড্রিঙ্ক, চাটনি বিশেষত বাচ্চাদের খাবার- এগুলো শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক।

তবে যেসব খাবার ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে যেমন বাদাম, মাছ মাছের তেল ইরা শারীরিক বিকলঙ্গতার প্রবণতা কমায়। তাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন নিয়ে আসুন, মিষ্টি জাতীয় খাবার অল্প পরিমাণে রাখুন। খাবার তালিকায় মিষ্টি জাতীয় খাবার কম রাখা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায়।

পড়াশোনার চর্চা স্মৃতিশক্তি বাড়ে

অক্সফর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, নিয়মিত পড়াশোনা চর্চা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। কারণ নিয়মিত পড়ার জন্য মানুষের বুদ্ধিমত্তা কোষগুলোকে নতুন নতুন উপায় নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিতে থাকে। এমনকি মস্তিষ্কের যে স্থানগুলো আগে কখনো ব্যবহার হয়নি সেগুলো কে সচল করে প্রশিক্ষণ দিতে থাকে। পড়ার সময়টাতে মানুষের মস্তিষ্কের মনোযোগ অথবা বুদ্ধিমত্তা জন্য দায়ী কোষগুলোতে রক্তচলাচল কার্যকর হয়।

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৮টি কার্যকরী উপায়

তাই অবশ্যই পড়াশোনার চর্চা মানুষের স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। তবে টিভি দেখা কিংবা কম্পিউটার গেম খেলার ক্ষেত্রে এটা কাজ করে না। তাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে তার পছন্দের মজার কিছু বই হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করুন। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। তাহলে আপনার স্মৃতিশক্তি স্বাভাবিক থাকবে এবং বৃদ্ধি পাবে। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় হল পড়াশোনা চর্চা করা

ছবি আঁকা স্মৃতিশক্তির কার্যক্ষমতা বাড়ায়

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে গেলে ক্রিয়েটিভ কাজ যেমন ছবি আঁকা শিল্পের জন্য চিন্তা মূলক কাজ মানুষের মস্তিষ্কের কোষগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি করে দেই। তখন দুর্বল হয়ে যাওয়া করলো আবার সচল হয়ে উঠতে থাকে। তবে এটা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয় তুলনামূলকভাবে যাদের বয়স বেশি তাদের জন্য, যাদের স্মৃতিশক্তি ধারণকারী কোষগুলোর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা ৬২ থেকে ৭০ বছর বয়সের ভেতরে আর্টের প্রভাব কেমন নিয়ে একটি পরীক্ষা করেন। অর্ধেক অংশ ইতিহাস আর বাকি অংশ ছবি আঁকার কাজ করতে দেওয়া হয়। পরীক্ষার ফলাফল দেখা যায় যারা ছবি এঁকেছেন তাদের স্মৃতিশক্তি যারা ইতিহাস চর্চা করেছেন তাদের চেয়ে বেশি সাড়া দিয়েছে।

ভালোবাসা ও ঘৃণার প্রভাব

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন ভালোবাসা ঘৃণা দুটি মানুষের মস্তিষ্কে একই স্থান থেকে সৃষ্টি হয়েছে। তাই এদের প্রভাবক প্রায় একই রকম তবে মস্তিষ্কে কোষে সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে পার্থক্য আছে বেশ কিছু।

ঘৃণা মানুষের মধ্যে বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। মানুষের স্বাভাবিক যুক্তির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ করে দেই ঘৃণা। স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে অন্যকে ঘৃনা করার প্রবণতা।

আবেগপূর্ণ ভালোবাসা এবং মাতৃত্বের অনুভূতির প্রভাব

পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মাতৃত্বের অনুভূতির প্রভাব মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় কাছাকাছি, কিন্তু এদের মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য আছে।যেমন কামনা দীপ্ত ভালোবাসার সম্পর্ক মানুষের যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোষগুলোকে সচল করে দেয়। একইসাথে উৎকণ্ঠা বা ভয়ের অনুভূতিকে কমিয়ে দেয়।

এ ধরনের ভালোবাসা মানুষের মধ্যে চঞ্চলতা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে মাতৃত্বের ভালোবাসার স্নেহের অনুভূতি সৃষ্টিকারী কোনগুলো কে সক্রিয় করে দেয়। আর এই দুই ধরনের সম্পর্ক মানুষের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে

স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করার খাবার

বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের স্মৃতিশক্তি আগের তুলনায় আরো বেশি শক্তিশালী হবে। যদি আপনি আপনার অথবা আপনার পরিবারের কোনো সদস্যের বিশেষ করে ছোট সদস্যদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই খাবারগুলো খেতে হবে। তাহলে চলুন এটিতে শক্তি বৃদ্ধি করার খাবার গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৮টি কার্যকরী উপায়

  • বাদাম
  • মাছ
  • কালোজাম
  • ডিম
  • পালং শাক
  • ডার্ক চকলেট
  • স্ট্রবেরি
  • টমেটো

বাদাম -- মস্তিষ্কে মনে রাখার জন্য বাদাম কে উপকারী বলে মনে করা হয়। বাদামের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান যেমন ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান এবং মস্তিষ্কের অন্যান্য রোগ দূর করতে সাহায্য করে। বাদাম খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে রাতে পাঁচটি বাদাম কে পানিতে ডুবিয়ে রেখে দিন সকালে উঠে এই বাদামের খোসা বের করে খেয়ে নিন এবং বাদামে ভেজা পানিটুকু খেয়ে নিতে পারেন।

যদি আপনি বাদাম প্রতিদিন নিয়মিত খান তাহলে আপনার মস্তিষ্ক অনেকটা ফাস্ট হয়ে যাবে। এবং আপনার মেমোরি পাওয়ার অনেকটা শক্ত হয়ে যাবে। তাই নিয়মিত বাদাম খেলে সহজেই আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়। যেসব খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায় তার মধ্যে বাদাম একটি।

মাছ -- নিরামিষ জারা খান তাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই ভালো বলে বিবেচনা করা হয়। মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে একে মস্তিষ্কের খাবারও বলা হয়। মাছ স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগী হতে সাহায্য করে।

যদি আপনি মস্তিষ্ক ফাস্ট করতে চান তাহলে আপনি বেশি থেকে বেশি মাছ খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করুন। মাঝে মধ্যেই মাছ খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়। যেসব খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায় তারমধ্যে মাছ একটি।

কালোজাম -- কালোজাম গুণাবলীতে ও সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। এটি আপনার মেমরি পাওয়ার বৃদ্ধি করতে সম্পূর্ণ ক্ষমতা রাখে। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান এবং কেমিক্যাল আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। এটি আপনাকে গত হয়ে যাওয়া কথাগুলো বা কাজ গুলো বা পড়াশোনা স্মরণ করিয়ে দিতে সাহায্য করে।

যদি যেসব খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায় তার মধ্যে কালোজাম অন্যতম। আপনি যদি আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চান তাহলে বেশি থেকে বেশি কালোজাম খাবেন তাহলে আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়।

ডিম -- ডিম ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ডিমের হলুদ অংশ মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। এতে ভিটামিন টি এবং ওমেগা ফ্যাটি এসিড রয়েছে আপনার মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

এগুলো অনেক রকম পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস করবেন তাহলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পাবে। তাই নিয়মিত ডিম খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়।

পালং শাক -- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে পালংশাক সর্বোত্তম খাবার বলে বিবেচনা করা হয়। পালং শাকে ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি ছাড়াও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড প্রস্তুত মাত্রা অনেক পরিমাণে পাওয়া যায়।

এটি আপনাকে স্মরণ শক্তির উপর ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই বেশি বেশি পালং শাক খাবেন এতে আপনার স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং বেশি সময় ধরে স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন।

ডার্ক চকলেট -- ডার্ক চকলেট স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও চকলেট মন মেজাজ ভালো রাখে এবং দুঃখ ভোলাতে সাহায্য করে। তাই নিজেদের ইচ্ছে পূরণ এবং উপকারিতা দুই দিকে খেয়াল রেখেই ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এটি খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়। যেসব খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায় তারমধ্যে ডার্ক চকলেট অন্যতম।

আরো পড়ুনঃ খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়ার কয়েকটি উপায়

স্ট্রবেরি -- ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যে একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা সপ্তাহে একটা স্ট্রবেরি খেয়েছেন তাদের স্মৃতিশক্তি এবং যারা খান না তাদের থেকে অনেক ভালো। তাই বেশি বেশি করে স্ট্রবেরি খেতে হবে তাহলে আপনার স্মৃতিশক্তি আগের থেকে বহু পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে এবং স্মৃতিতে ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

টমেটো -- একটি গবেষণায় দেখা গেছে টমেটোতে লাইকোপেম নামে একটি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যার ফলে সৃতিশক্তি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হলে টমেটো অধিক পরিমাণে খেতে হবে তাহলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। বেশি বেশি টমেটো খেয়ে স্মৃতিশক্তি বাড়ানো যায়।

আমাদের শেষ কথাঃ স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৮টি কার্যকরী উপায়

আপনারা যারা আপনাদের স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে সহজেই ভুলে যাচ্ছেন। তাদের জন্য এই পোস্টটি। ওপরে আটটি পদ্ধতি উল্লেখ করেছি যা আপনাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। এবং কি কারনে স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে তাও উপরে উল্লেখ করা আছে। তো উক্ত কাজগুলো যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি উপরুক্ত বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। যেহেতু বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের স্মৃতিশক্তির সাথে জড়িত তাই অবশ্যই আমাদের আগে থেকে জেনে নেওয়া উচিত। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url