তলপেট বেড়ে যাওয়ার কারণ - তলপেট ভারী হওয়ার কারণ

তলপেটের চর্বি কমানোর ব্যায়াম তলপেট বেড়ে যাওয়ার কারণ না জানার কারণে আমাদের অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই প্রথমে তলপেট কমানোর জন্য তলপেট ভারী হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিতে হবে।

তলপেট-বেড়ে-যাওয়ার-কারণ

তলপেট ভারী হওয়ার কারণ জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই আমাদের পেট কমাতে পারবো। আপনাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য তলপেট বেড়ে যাওয়ার কারণ গুলো আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ তলপেট বেড়ে যাওয়ার কারণ - তলপেট ভারী হওয়ার কারণ

তলপেট বেড়ে যাওয়ার কারণ

তলপেট বেড়ে যাওয়ার কারণ জানার পরে আমাদেরকে বেড়ে যাওয়া অতিরিক্ত চর্বি কমানোর চেষ্টা করতে হবে। তাই আমাদের প্রথম করণীয় হলো কেন আমাদের তলপেট বেড়ে যায়? এ বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানা। আপনি যদি পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর চেষ্টা করে থাকেন তাহলে আপনাকে এ বিষয়গুলো প্রথমে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।

  • অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি খাওয়া
  • প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া
  • শারীরিক পরিশ্রম না করা
  • প্রোটিন না খাওয়া
  • অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ
  • কি খাওয়া হচ্ছে খেয়াল না রাখা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমানো
  • নিয়ম মেনে না চলা
  • ফাস্টফুড অতিরিক্ত খাওয়া

অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি খাওয়াঃ আমাদের শরীরের এবং তলপেটের অতিরিক্ত পরিমাণে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো পরিমাপের চাইতে বেশি চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া। কারণ চীনের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চর্বি যা আমাদের তলপেট বাড়াতে সাহায্য করে।

প্যাকেটজাত খাবার খাওয়াঃ তলপেট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া। আমরা অনেকেই প্যাকেটজাত খাবার খেতে পছন্দ করি সাধারণত এই খাবারগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি থাকে যা আমাদের তলপেট বাড়িয়ে দেয়।

শারীরিক পরিশ্রম না করাঃ যদি শারীরিক পরিশ্রম না করা যায় তাহলে অনেক সময় আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় তার সাথে আমাদের তলপেটও বৃদ্ধি পায়। শরীরের ওজন কমাতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়ার ১০টি উপায়

প্রোটিন না খাওয়াঃ তলপেট বেড়ে যাওয়ার আরো একটি প্রধান কারণ রয়েছে সেটি হল সঠিক পরিমাণে প্রোটিন না হওয়া। আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রোটিন যা বিভিন্ন খাবারের মধ্যে থাকে। যদি এই খাবারগুলো না খাওয়া হয় তাহলে আমাদের তলপেট বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়াঃ যদি আপনি আপনার চাহিদার চাইতে অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে এর সাথে আপনার তলপেট বেড়ে যাবে। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।

অতিরিক্ত মানসিক চাপঃ আমাদের শরীরের ওজন অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার এবং আমাদের তলপেট বেড়ে যাওয়ার আরো একটি প্রধান কারণ রয়েছে সেটি হল অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ।

কি খাওয়া হচ্ছে খেয়াল না রাখাঃ আমরা অনেকেই কি খায় সেদিকে খেয়াল রাখি না খাবার হলেই হয়ে যায়। কোন খাবার আপনার শরীরের জন্য ভালো আর কোন খাবারগুলো আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর এ বিষয়ে না জেনে খাওয়ার কারণে তলপেট বেড়ে যায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমানোঃ ঘুম হলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যদি কেউ সঠিক পরিমাণে না ঘুমায় এবং অতিরিক্ত পরিমাণে রাত জাগে তাহলে তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে এর মধ্যে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া এবং তলপেট বেড়ে যাওয়া।

নিয়ম মেনে না চলাঃ আমাদের ওজন এবং তলপেট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো নিয়ম মেনে না চলা। প্রতিটি খাবার খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। যদি আমরা এই নিয়মগুলো না মানি তাহলে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় এবং তলপেট বেড়ে যায়।

ফাস্টফুড অতিরিক্ত খাওয়াঃ ফাস্টফুড খেতে সবাই পছন্দ করে। কিন্তু এই খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এবং ফ্যাট যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে আমাদের তলপেট বেড়ে যেতে পারে।

তলপেট ভারী লাগার কারণ

তলপেট ভারী লাগার কারণ আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ জানেনা। যেকোনো সমস্যা হওয়ার পরে আমরা সেটি নিয়ে ভাবি কিন্তু এই সমস্যাগুলো হওয়ার আগে আমাদের কোন ধরনের মাথাব্যথা থাকে না। আমাদের তলপেট ভারী হওয়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে অবশ্য আমাদেরকে সে কারণগুলো জানতে হবে। একেক জনেরর এক এক কারণে তলপেট ভারী হয়ে যায়।

  • প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের মাসিক হয়ে থাকে সাধারণত তাদের মাসিকের ব্যাথার কারণে অনেক সময় তলপেট অতিরিক্ত পরিমাণে ভারী লাগে।
  • যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে এবং দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে পায়খানা না হয় তাহলে অনেক সময় তলপেট অতিরিক্ত পরিমাণে ভারী অনুভূত হয়।
  • প্রসাব করার সময় অতিরিক্ত পরিমাণে জ্বালাপোড়া করা এবং ব্যথা করা ঘন ঘন প্রসাব করা বিভিন্ন উপসর্গের কারণে তলপেট অতিরিক্ত পরিমাণে ভারী হয়ে যায়।
  • ওভারিয়ান সিস্ট হলো তরল ভরা থলি যা ডিম্বাশয়ের উপরে বিকাশ করতে পারে সাধারণত এই কারণে তলপেট ব্যথা হয় এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ভারী হয়ে যায়।
  • যদি মেয়েদের জরায়ু আস্তরণের অনুরোধ টিস্যু জরায়ুর বাইরে বৃদ্ধি পায় তাহলে তলপেট ব্যথা এবং তলপেট অতিরিক্ত পরিমাণে ভারী অনুভূত হয়।
  • মেয়েদের প্রজনন অঙ্গের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রয়েছে যার কারণে তলপেট ব্যথা জ্বর সহ তলপেটে অতিরিক্ত পরিমাণে ভারী হয়ে যাওয়া সমস্যা গুলো দেখা দেই।

মেয়েদের তলপেট ফোলার কারণ

তলপেট বেড়ে যাওয়ার কারণ যারা অত্যন্ত জরুরি বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। কারণ মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে এটি হয়ে থাকে তাই আগে থেকেই আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যারা অতিরিক্ত পরিমাণে তাড়াতাড়ি খায় এবং বিভিন্ন ধরনের তেল জাতীয় খাবার খায় তাদের ক্ষেত্রে পেট অতিরিক্ত পরিমাণে ফুলে যায়।

১। মেয়েদের তলপেট ফুলে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো কৃত্রিম চিনি। যার মধ্যে থাকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। এই চিনি মলাশয়ে এগিয়ে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া সংঘটিত করে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যায় তাহলে এটি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মদিন যা আমাদের তলপেটের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

২। যারা অতিরিক্ত পরিমাণে ফুলকপি অথবা বাঁধাকপি জাতীয় খাবার খায় অথবা এই পরিবারের সবচেয়ে গুলো বেশি পরিমাণে খায় সাধারণত তাদের দেহের পক্ষে যে কোন খাবার হজম করা খুব কঠিন হয়ে যায় যার ফলে পেট ফুলে যায়। কারণ এই সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে এক ধরনের পদার্থ যা হজম শক্তি ব্যাহত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

৩। খেলাধুলা করার পরে অথবা অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া করার পরে আমরা বিভিন্ন ধরনের ড্রিঙ্কস পান করে থাকি। সাধারণত এগুলো হলো তলপেট ফুলে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে। তাই এই ড্রিঙ্কস গুলো পান না করে অবশ্যই আমাদের ডাবের পানি অথবা অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস খেতে হবে।

৪। অতিরিক্ত পরিমাণে দ্রুত খাওয়া হচ্ছে তলপেট ফুলে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। অনেক মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় কয়েক মিনিটের মধ্যে তাদের খাওয়া হয়ে যায় সাধারণত তারা যে কোন খাবার গিলে খাই ভালো মতো চাবিয়ে খায় না। সাধারণত তাই আমাদের পেট বেড়ে যায় অথবা শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। খাবার আস্তে আস্তে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে।

উপরের পেট বড় হওয়ার কারণ

উপরের পেট বড় হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানব। আমরা এতক্ষন তলপেট নিয়ে আলোচনা করলাম। অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে আমাদের উপরের পেট ফুলে যায়। কিন্তু এই সমস্যাগুলো কেন হয়ে থাকে? এর কোন উত্তর আমাদের কাছে নেই। তাই প্রথমে আমাদের উপরের পেট কেন বড় হয়ে যায়? এর কারণ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।

যদি কোন কারণে আমাদের ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করে তাহলে এটি কমানোর অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। সাধারণত এটিকে কমানোর জন্য আমাদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। যা আমাদের সকলের জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই আগে থেকেই আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন আমাদের উপরের পেট বেড়ে না যায়।

  • আমাদের বেশ কিছু অভ্যাস রয়েছে যেগুলোর কারণে আমাদের পেট বেড়ে যায়। অনেক অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের পেট অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায়।
  • কেউ যদি অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করে থাকে এবং দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস থাকে তাহলে তার ক্ষেত্রে পেট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো এটি। কারণ অ্যালকোহল বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে এবং এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফ্যাট।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া হচ্ছে পেট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। আমরা যদি আমাদের স্বাভাবিক চাহিদা চাইতে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেয়ে নেই তাহলে এটি আমাদের উপরের পেট বৃদ্ধি করে দেই।
  • খাবার পরে শুয়ে যাওয়া পেট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। আমরা অনেকেই খাওয়া দাওয়া করার পরে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে যায় সাধারণত এই খাবার গুলো হজম হয় না যার ফলে আমাদের পেট অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায় তার সাথে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়।
  • কোন ধরনের পরিশ্রম না করা হচ্ছে অন্যতম প্রধান কারণ পেট বেড়ে যাওয়ার। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে পরিশ্রম। যদি আমরা সঠিকভাবে পরিশ্রম না করি তাহলে আমাদের শরীরের চর্বি বৃদ্ধি পাবে।
  • শরীরচর্চা না করা হলো অন্যতম প্রধান কারণ পেট বেড়ে যাওয়ার। আমাদেরকে সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। কারণ শরীর চর্চা হলো সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি। শরীরের ওজন এবং পেট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ শরীরচর্চা না করা।

মেয়েদের তলপেটের মেদ কমানোর উপায়

তলপেট বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানা হয়েছে এখন আমরা মেয়েদের তলপেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানব। কোন কোন কারণে মেয়েদের তলপেটের মেদ বেড়ে যায় এই বিষয়গুলো জানা হয়েছে। বিশেষ করে বাচ্চা জন্মদানের পর এই সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায় তাই মেয়েদের উচিত তলপেটের মেদ কিভাবে কমাতে হয়? এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়া।

মেয়েদের-তলপেটের-মেদ-কমানোর-উপায়

  • যে সকল নারীদের মাসিক বন্ধ হয়ে গিয়েছে সাধারণত তাদের পেটে মেদ জমে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। যেহেতু এই সময় নারীদের শরীর থেকে ইস্ট্রোজেন হরমোন এর সংখ্যা অনেকটা কমতে থাকে তাই এই ধরনের সমস্যা গুলো দেখা যায়। এ সময় আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা।
  • যদি আপনি এই সময় আপনার শরীরের ওজন অথবা তলপেটের মেয়েদের কমাতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত হাঁটতে হবে অথবা দৌড়াতে হবে। এটি একদিন দুইদিন করলে হবে না অবশ্যই নিয়মিত প্রতিদিন করতে হবে। নিয়মিত যদি আপনি হাঁটতে পারেন অথবা দৌড়াতে পারেন কিছু সময়ের জন্য তাহলে কি আপনার শরীরের ওজন কমাবে এবং আপনার তলপেটের অতিরিক্ত মেদ কমাবে।
  • তলপেটের মেদ কমানোর আরো একটি প্রধান উপায় হলো আমাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্য অতিরিক্ত পরিমাণে ফল রাখতে হবে। এর সাথে অবশ্যই সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে বেশি। সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল দিয়ে ভাত রান্না করতে হবে এবং সাদা আটার পরিবর্তে লাল আটার রুটি খেতে হবে।
  • তলপেট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি খাওয়া। একটা নির্দিষ্ট বয়স হয়ে যাওয়ার পরে অবশ্যই আমাদেরকে চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। কারণ চিনির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট যা আমাদের শরীরের ওজন বাড়ায়। তলপেটের মেদ কমাতে হলে মিষ্টি জাতীয় পানি খেতে হবে কম।
  • যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে ফাস্টফুড খেয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ ফাস্ট ফুড আমাদের শরীরের ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে বাড়িয়ে দেয় এছাড়া বেশ কিছু প্রক্রিয়া জাত খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় বিশেষ করে তলপেটের ওজন বাড়তে থাকে।
  • শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া এবং আমাদের তলপেটের মেদ বৃদ্ধি পার অন্যতম প্রধান কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমানো। তাই আপনি যদি আপনার শরীরের ওজন কমাতে চান অথবা তলপেটের মেদ কমাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। এর চাইতে বেশি অথবা এর চাইতে কম ঘুমানো যাবে না।

তলপেট কমানোর উপায়

তলপেট কমানোর উপায় আমাদের অনেকের জানা নেই যার ফলে অস্বাভাবিকভাবে আমাদের পেট বেড়ে যায় বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে। এই সমস্যাটি সমাধান করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে কিভাবে পেট কমাতে হবে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। তলপেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে হলে আমাদের বেশ কিছু করণীয় রয়েছে অবশ্যই সেগুলো মেনে চলতে হবে।

  • আপনার যদি দ্রুত খাবার অভ্যাস থাকে তাহলে খেয়ে অভ্যাসটিকে আগে বাদ দিতে হবে। খাবার খাওয়া শুরু করার পর যখন সে খাবার পেটে যায় সাধারণত তখন পাকস্থলী থেকে মস্তিষ্কে সংকেত পাঠানো হয়। সাধারণত পেট সম্পূর্ণ ভরেছে কি ভরেনি এটি বুঝতে মস্তিষ্কের প্রায় ২০ মিনিট মতো সময় লাগে। তাই তলপেট কমানোর জন্য তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
  • আমাদের মধ্যে অনেকে এসে যারা সকালের নাস্তা না খেয়ে দুপুরে একেবারে বেশি করে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করে। যদি এমনটা করা হয় নিয়মিত তাহলে অনেক সময় আমাদের শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কারণ এক বেলা খাবার বাদ দিলে অপর বেলা বেশি খাওয়ার খাওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায় যার ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়।
  • খাবার খাওয়ার সময় আমরা অনেকেই বড় প্লেট বেশি নাই যার ফলে বেশি খাবার খাওয়া হয়। এক্ষেত্রে আমরা যদি ছোট প্লেট নিয়ে খেতে বসে তাহলে আমাদের সাথে যতটুকু প্রয়োজন সাধারণত ততটুকু খাবার আমরা খেয়ে থাকি। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় প্লেটে যতটুকু খাবার আছে সবটুকু শেষ করার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই ছোট প্লেটে খাওয়া উচিত।
  • খাবার খাওয়ার সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যস্ত থাকি যার ফলে আমরা কতটুকু খাবার খাচ্ছি এ বিষয়ে কোন ধরনের ধারণা পাই না। হয়তো বা কোন সময় অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেয়ে নেই আবার কোন সময় পরিমাপের চাইতে কম খাবার খেয়ে নেই। এই কারণে আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় এবং তলপেট বেড়ে যায়। তাই খাবার খাওয়ার সময় অন্য কোন কাজ করা যাবে না।
  • অনেক সময় আমরা মানুষের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। তখন সৌজন্যবোধ দেখাতে গিয়ে আমরা আমাদের স্বাভাবিকের চাইতে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেয়ে ফেলি। অথবা যদি আমাদের পছন্দের কোনো খাবার রান্না হয় তাহলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি সাধারণত এই কাজ করা যাবে না।
  • আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার এবং পেটের মেদ বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত মানসিক চাপ। আমরা যখন দিনের পর দিন মানসিক চাপের মধ্যে থাকি সাধারণত তখন আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসারিত হয়। যার ফলে শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
  • বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুমায় এবং ঘুমানোর কোন সময় থাকে না সাধারণত তাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এছাড়া যারা খাবার পর পর ঘুমিয়ে যায় সাধারণত তাদের তলপেট অনেক বেশি বেড়ে যায়। আমাদেরকে অবশ্যই ঘুমানোর বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সঠিক সময়ে ঘুমাতে হবে।

৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়

৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো অনেকের জানার আগ্রহ থাকে। যদিও বিষয়টি অস্বাভাবিক এবং কখনো সম্ভব নয়। যদি আমাদের মেদ অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায় তাহলে এটি কমাতে হলে কমপক্ষে আমাদের ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় দিতে হবে। আপনি যদি না খেয়েও তিন দিন থাকেন তাহলে কখনোই শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে পারবেন না।

আমরা যদি লাগাতার তিন দিন না খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যাবে এবং আমরা অসুস্থ হয়ে পড়বো। তাই কখনোই এত তাড়াতাড়ি পেটের মেদ কমানোর জন্য আমরা এই ভুলগুলো করবো না। দীর্ঘ মেয়াদী একটি প্রসেসের মধ্যে দিয়ে গেলে আপনি খুব সহজে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং আপনার পেটের মেদ কমাতে পারবেন।

কিভাবে আপনি আপনার পেটের মেদ কমাবেন সাধারণত এ বিষয়ে অনেকগুলো পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে আপনাকে সেগুলো মেনে চলতে হবে। আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলো সাদা চাল এবং সাদা-আটার বিকল্প বেছে নিতে হবে। সাদা চাল এবং সাদা আটার পরিবর্তে আপনাকে লাল চাল এবং লাল আটা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

খাবার তালিকায় অবশ্যই শাকসবজি এবং ফলমূল রাখতে হবে। যে খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি এবং ফ্যাট আছে সাধারণত সেই খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এই খাবারগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আমাদের শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে এবং তলপেট বৃদ্ধি পেতে পারে।

যদি আপনি সত্যি আপনার পেটের মেদ কমাতে চান তাহলে শুয়ে বসে থাকলে হবে না অবশ্যই আপনাকে আপনার শরীর নড়াচড়া করাতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে একটু হাঁটাচলা করতে হবে এবং শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। যদি আপনি সবসময় শুয়ে বসে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের ওজন আরো বেশি বাড়তে থাকবে।

তলপেটের চর্বি কমানোর ব্যায়াম

তলপেট বেড়ে যাওয়ার কারণ এবং কিভাবে কমানো হয় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি। যদি ধীরে ধীরে আপনার তলপেট বেড়ে যেতে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপরে উল্লেখ করা এই পয়েন্ট গুলো মেনে চলতে হবে তাহলে আপনি আপনার অতিরিক্ত চর্বি কমাতে পারবেন। এছাড়া বেশ কিছু ব্যায়াম রয়েছে এগুলো করলেও তলপেটে চর্বি কমাতে পারবেন না।

পেটে যদি অতিরিক্ত চর্বি জমা হয় তাহলে শুধু পেট ফুলে যায় এমনটা নয় আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু জরুরি রোগ রয়েছে যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস রক্তচাপ সহ আরও বিভিন্ন ধরনের রোগ রয়েছে। পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে হলে অবশ্যই শরীর চর্চা করতেই হবে এর কোন বিকল্প নেই।

তলপেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে হলে আপনি সাঁতার করতে পারেন। অথবা নিয়মিত সাইকেল চালাতে পারেন যদি এই কাজগুলো নিয়মিত করতে পারেন তাহলে আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। এছাড়া আপনি যদি স্বল্প সময়ে কঠোর অনুশীলন করেন এবং অল্প সময়ের জন্য বিরতি নেন তাহলে এটি এক ধরনের শরীরচর্চা পদ্ধতির মধ্যে পড়ে যা আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাবে।

প্রথমে আপনাকে সোজা হয়ে নিচে শুয়ে যেতে হবে এরপরে পা দুটো উপরে তুলে দিতে হবে। হাত দুটো সোজা পাশে থাকবে এবার নিঃশ্বাস নিতে নিতে পা দুটো জোড়া অবস্থায় নিচে নামাতে হবে। এভাবে কিছুক্ষণ উপরে নিচে উপরে নিচে করতে হবে। যদি প্রতিদিন এই ব্যায়াম করা যায় তাহলে আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমতে শুরু করবে।

এছাড়া আরও একটি ব্যায়াম রয়েছে প্রথমে আপনাকে মাদুরের ওপর চিৎ হয়ে শুয়ে যেতে হবে এবার হাটু ভাঁজ করে বুকের কাছে আনতে চেষ্টা করতে হবে। একই সঙ্গে মাথার পেছনে হাত দিয়ে শরীরটাকে উঠিয়ে হাঁটুর কাছাকাছি নিয়ে যেতে হবে। হাঁটু এবং মাথায় একসঙ্গে আনার সময় শ্বাস নিতে হবে এবং আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সময় শ্বাস ছেড়ে দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৮টি কার্যকরী উপায়

যেহেতু আপনি আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে চান তাহলে আপনাকে নিঃশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা দুটোকে বুকের কাছে আনতে হবে। এভাবে পা দুটোকে কয়েক সেকেন্ড চেপে ধরে রাখতে হবে তারপর ধীরে ধীরে সোজা করতে হবে। এভাবে কয়েকবার করতে হবে এবং প্রতিদিন করতে হবে তাহলে আপনার পেটের মেদ কমতে শুরু করবে।

ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়

ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায় আছে। যা আমরা ইতিমধ্যেই ওপরে আলোচনায় বিস্তারিতভাবে আপনাদের জানিয়েছি। যদি আপনি ব্যায়াম ছাড়া আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং পেটের মেদ কমাতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। অনেক সময় আমরা নিয়মের বাইরে চলাফেরা করি তাই আমাদের শরীরের ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায় এবং পেটের মেদ বেড়ে যায় তাই এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।

ব্যায়াম-ছাড়া-পেটের-মেদ-কমানোর-উপায়

ব্যায়াম ছাড়া যদি আপনি পেটের মেদ কমাতে চান তাহলে আপনাকে আগে আপনার খাবার তালিকা ঠিক রাখতে হবে। খাবার তালিকায় আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি খেয়ে ফেলে যার ফলে আমাদের শরীরের ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। তাই আপনাকে শরীরের ওজন কমাতে হলে প্রথমেই খাবার তালিকা সঠিকভাবে রাখতে হবে। এতে করে আপনার শরীরের ওজন কমতে শুরু করবে।

বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার পরে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে যায় সেই খাবারগুলো ত্যাগ করতে হবে এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফাস্টফুড জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত তেল চলবে জাতীয় খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন ধরনের খাবার। যদি ব্যায়াম ছাড়া শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই খাবারগুলো বাদ দিয়ে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

অবশ্যই নিজের জীবনকে একটি নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া দাওয়া করতে হবে যখন কার খাবার তখন খেতে হবে। রাতে সঠিক সময় ঘুমাতে হবে এবং সকালে সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুমানো যাবে না এবং খাওয়া-দাওয়ার পর পর শুয়ে পড়া যাবে না যার ফলে শরীরের ওজন বেড়ে যায় এবং পেটের মেদ বেড়ে যায়।

লেখকের শেষ কথা

তলপেট বেড়ে যাওয়ার কারণ সহ কি করলে আমরা আমাদের অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া পেট কমাতে পারবো এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। যদি আপনি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সমস্যার মধ্যে থাকেন এবং আপনার অতিরিক্ত পেট কমাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

আশা করছি আপনি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে আপনার শরীরের ওজন কিভাবে কমাবেন এ বিষয়গুলো সম্পূর্ণ জানতে পারবেন। বিশেষ করে যদি আপনার পেটের চর্বি কমাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়তে হবে। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ অবশ্যই আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের ২৪ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url